Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
ডেঙ্গু মশা
বিস্তারিত

চারদিকে ডেঙ্গু নিয়েই আলোচনা। কেননা, এ বছর রাজধানীতে ডেঙ্গু হানা দিয়েছে পূর্ণশক্তি নিয়ে। ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত রোগ, এর তেমন কোনো ওষুধ নেই। নেই কোনো ভ্যাকসিন, যদিও ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের চেষ্টা চলছে। তাই এখন পর্যন্ত প্রতিরোধই একমাত্র ভরসা। সচেতনতাই প্রধান পদক্ষেপ।

এডিস মশার বংশ নাশ করতে হবে

ডেঙ্গুর ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষের দেহে ছড়ায় মশার মাধ্যমে। মশাই এই রোগের একমাত্র বাহক। ডেঙ্গু ভাইরাস যে বিশেষ মশার মাধ্যমে ছড়ায়, তার নামও সবাই জানে—এডিস মশা। এডিস মশার দুই রকম প্রজাতি আছে। একটির নাম এডিস ইজিপ্টি ও অপরটি এডিস এলবোপিক্টাস। তবে আমাদের এই অঞ্চলে এডিস ইজিপ্টিই বেশি। এরা কামড়ায় সাধারণত দিনের বেলায়, বিশেষ করে শেষ বিকেলে।

এডিস মশা একটু গৃহী ধরনের। পছন্দ করে আবদ্ধ জলাধার। এরা বাসাবাড়ির টবে, ফ্রিজের পেছনে জমে থাকা পানি, এসির পানি, কমোডে আটকে থাকা পানি ইত্যাদিতে বংশবিস্তার করে। রাস্তার খানাখন্দ, পড়ে থাকা পুরোনো টায়ার, যেকোনো রকমের পাত্র, জেরিক্যান, মোটকথা যেখানে পানি কিছুদিন জমে থাকতে পারে, সেখানেই এদের বসবাস ও প্রজনন।

যেহেতু মশাই এই রোগের একমাত্র বাহক, সুতরাং মশার আবাস ও প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করতে পারলেই এডিস নির্বংশ হবে সমূলে। ডেঙ্গু প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায় তাই এডিস মশার বংশ নাশ। তাই বসতবাড়ির এ রকম আবদ্ধ জলাধার ধ্বংস করতে হবে। ফ্রিজের বা এসির পানি দুই দিন পরপর পরিষ্কার করতে হবে। বাসার বারান্দায়, টেরিসে বা কার্নিশে খোলা টব থাকলে সেটা পরিষ্কার করতে হবে। রাস্তার আশপাশের খানাখন্দ ভরাট করে ফেলতে হবে। রাজধানীকে পরিচ্ছন্ন ও মশামুক্ত করতে সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব তো আছেই, কিন্তু নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়ও কম নেই। এর আগেও আপৎকালে ও দুর্যোগে যেমন এ দেশের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নেমে এসেছে, এখন সময় এসেছে আবার। যথাযথ কর্তৃপক্ষের দিকে না তাকিয়ে পাড়া-মহল্লায় তরুণেরা দল বেঁধে নিজেরাই নেমে পড়তে পারেন এই কাজে। কাজগুলো করতে হবে ডেঙ্গু মৌসুম শুরুর আগেই। ডেঙ্গু মৌসুম মানে মে থেকে সেপ্টেম্বর—এই পাঁচ মাস।

যাদের জন্য ডেঙ্গু জটিল হতে পারে

শিশু, বৃদ্ধ ও গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গু রোগ জটিল হয়ে উঠতে পারে। আগে যারা আক্রান্ত হয়েছে, তারা দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে জটিলতা বেশি হয়। এ রকম রোগীরা সহজে ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হতে পারে। তাই শিশু, বৃদ্ধ ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য দরকার বিশেষ সতর্কতা। তবে মনে রাখবেন, মাতৃদুগ্ধ পানের মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়ায় না।

ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
04/08/2019
আর্কাইভ তারিখ
04/08/2019